ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার মালামালসহ কাভার্ড ভ্যান উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার বিসিক শিল্প নগরীর প্রসিদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিপা অয়েল এন্ড ফ্লাওয়ার মিলের সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩২৫ বস্তা ময়দা ও ভূষিভর্তি কাভার্ড ভ্যান উধাও হয়ে গেছে। ৪ দিন ধরে চালকের মুঠোফোন বন্ধ। গাড়ি কিংবা চালক কোনটির হদিস মিলছে না। ঘটনায় বড় ধরণের রহস্য দেখছে মিল মালিক ও স্থানীয়রা।

নিপা অয়েল এন্ড ফ্লাওয়ার মিলের কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ বলেন, ‘আমরা প্রতি সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মালামাল সরবরাহ করতে ৭/৮টির মতো গাড়ি ভাড়া করি। যা বিসিক এলাকার বাসিন্দা ও মেসার্স কক্সবাজার পরিবহন সংস্থার পরিচালক মো. মোস্তফা ভাড়া দেন। প্রতিবারের ন্যায় গত ৪ মার্চ মালামাল সরবরাহের তিনি গাড়ি দেন। যার নং- ঢাকামেট্রো-ট-১৮-৪৯২৯। সে গাড়িতে করে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩২৫ বস্তা ময়দা ও ভূষি বদরখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওইদিন রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত চালক মো. সোহেলের সঙ্গে আমার ফোনে যোগাযোগ থাকে। পরের দিন ৫ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে চালকের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তখন কাভার্ড ভ্যানের ভাড়াদাতা মো. মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি অপেক্ষা করতে বলেন। অপেক্ষা করেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন সুখবর নেই। মালামাল ও গাড়ির খোঁজখবর মেলে নি।’

নিপা অয়েল এন্ড ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক মো. আমিনুল হক বলেন, ‘মো. মোস্তফার ভাড়ায় দেওয়া গাড়িতে সবসময় আমাদের মিলের মালামাল সরবরাহ করা হয়। নির্ধারিত ভাড়ার টাকাও যথাসময়ে পরিশোধ করি। কোন দেনা পাওনা নেই। কিন্তু এবার কেন এমন ঘটনা ঘটালো? এতে মোস্তফাসহ একটি চক্র জড়িত থাকতে পারে।’

এদিকে, ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে গত ৬ মার্চ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির+৮৮০৯৬৩৮…৩৩০ নাম্বার থেকে ফোনে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় মালামাল ফেরত পাবে না বলে জানায়। চালক সোহেলের ব্যবাহারের মোবাইল নাম্বারেও ফোন করে একই ব্যক্তি। ঘটনার সঙ্গে শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র জড়িত বলে মনে করছে সবাই। অপরাধচক্র শনাক্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন মিল পরিচালক আমিনুল হক।

গাড়ি সরবরাহকারী মো. মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলেন, ‘সমস্ত কাগজপত্র যাচাই করে চালকের সঙ্গে কথা বলে গাড়ি পাঠিয়েছি। মালামাল বোঝাই করে চালান ফরমে স্বাক্ষর দিয়ে যথা নিয়মে চালক গাড়ি নিয়ে রওনা করেছে। নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি না পৌঁছলে চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে মোবাইল বন্ধ পাই। এরপর গাড়ির নাম্বারের সূত্র ধরে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা একটি মোবাইল নাম্বার দেয়। থ্রু কলারে ‘রিয়াদ’ নাম আসে। সেটিতে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিপা অয়েল এন্ড ফ্লাওয়ার মিলকে আমি গাড়ি ভাড়া দিয়ে আসছি। কোনদিন এমন ঘটনা ঘটে নি। এ বিষয়ে সমিতির সঙ্গে বৈঠক আছে। সেখানে কি সিদ্ধান্ত হয় দেখি।’

পাঠকের মতামত: